ছুটি বাতিল ও শিক্ষাবর্ষ কমানোর পরামর্শ

ছুটি বাতিল ও শিক্ষাবর্ষ কমানোর পরামর্শ

করোনায় উচ্চশিক্ষার ক্ষতি পোষাতে বিভিন্ন ধরনের ছুটি বাতিল ও শিক্ষাবর্ষের সময় কমানোসহ ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত গাইডলাইনটি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।

ছুটি বাতিল ও শিক্ষাবর্ষ কমানোর পরামর্শ

করোনায় উচ্চশিক্ষার ক্ষতি পোষাতে বিভিন্ন ধরনের ছুটি বাতিল ও শিক্ষাবর্ষের সময় কমানোসহ ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল মঙ্গলবার ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত গাইডলাইনটি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বা বিদ্যমান একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়কাল উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে হবে। সেমিস্টার, টার্ম বা বার্ষিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক বিষয়সহ সব বিষয়ের ক্লাস, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন ছুটি, যেমন—সামার, উইন্টার ও ফেস্টিভাল ভ্যাকেশন কমানো যেতে পারে বা পরিহার করা যেতে পারে। চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি, দুটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝের গ্যাপ ও বর্ষ, সেমিস্টারের, টার্মের মাঝের গ্যাপ কমানো যেতে পারে।

প্রতিটি ক্লাসের (তত্ত্বীয় ও ব্যাবহারিক) সময় বর্তমানের মতোই বলবৎ থাকবে অর্থাৎ লেকচারের সময় কমানো যাবে না। তবে লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে। একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, মিডটার্ম পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট বা টার্ম পেপারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।

ইউজিসি এই গাইডলাইন অনুসরণ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজ নিজ রিকভারি গাইডলাইন তৈরি করতে বলেছে। সেই প্ল্যান একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং তা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি গাইডলাইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *