খাস জমি কত প্রকার?

How many types of special land আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে কোনো জমিতে সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন থাকলে। সেই জমি গুলোকে খাস জমি বলা হয়। তবে এই খাস জমির ভিন্ন প্রকারের হয়। মূলত সে কারণে আজকে আমি আপনাকে খাস জমি সংক্রান্ত সকল বিষয় গুলো জানাবো। 

এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন, খাস জমি কি এবং খাস জমি কত প্রকার। 

আরো পরুনঃ ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম 

খাস জমি কাকে বলে?

বাংলাদেশের যেসব জমি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয়। আর যখন সরকার পুরোপুরি ভাবে সেই জমি গুলোর নিয়ন্ত্রন নেয়। তাহলে উক্ত জমি গুলোকে বলা হয়, খাস জমি। এই ধরনের খাস জমিতে সরকার তার পছন্দ মতো বন্দোবস্ত নিতে পারবেন। কিংবা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

আরো পরুনঃ জমির পরিমাপ শতাংশ | জমির পরিমাপক 

খাস জমি কত প্রকার ও কি কি ? 

আমাদের দেশে মোট ৪ ধরনের জমিকে খাস জমি বলা হয়। যেগুলো কৃষি জমি কিংবা অকৃষি জমি দুটোই হতে পারে। যেমন, 

০১ – নদী ভাঙ্গনে সৃষ্ট জমিঃ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন হয়। আর এই নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমির সৃষ্টি হয়। সেগুলোকে সরকারের অধীনে ব্যবহার করা হয়। যার কারণে এগুলো খাস জমির আওতায় পড়ে। 

০২ – সরকারের অধিগ্রহনকৃত জমিঃ বাংলাদেশের নাগরিকের কাছে সরকার যখন কোনো জমি ক্রয় করবে। তারপর সেই জমি গুলোর মালিকানা পাবে। তখন সরকারের এই জমি গুলোকে খাস জমি হিসেবে ধরা হবে। 

০৩ – রাস্তা – ঘাট, নদী – নালাঃ আমাদের দেশের মধ্যে যে রাস্তা রয়েছে, সেগুলো আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি। তো এগুলোও হলো খাস জমির অন্তর্ভূক্ত। তবে এগুলো ছাড়াও নদী নালায় যে জমি গুলো থাকে। সেগুলো খাস জমি। 

০৪ – কৃষি ও অকৃষি জমিঃ সরকার নিয়ন্ত্রিত জমি অর্থ্যাৎ খাস জমি কৃষি ও অকৃষি দুটোই হতে পারে। 

তো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে যে জমি গুলোকে খাস জমি বলা হয়। সেগুলো নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। 

আরো পরুনঃ জমির দাগ নম্বর ম্যাপ বের করার উপায়

কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়?

আপনারা অনেকেই এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান যে, কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়? -তো বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী একটানা ৩ বছর জমির খাজনা না দিলে। উক্ত জমিকে খাস জমির আওতায় আসবে। 

অপরদিকে আপনি যদি অন্য কারো জমি জোরপূর্বক দখল করেন। তাহলে আপনার সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ারও আইন আছে।আরো পরুনঃ জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বের করার উপায়   

খাস জমি কিভাবে বুঝব?

আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে খাস জমি চিনতে পারবেন। আর কোনো কারণে যদি আপনার খাস জমি চেক করার দরকার হয়। তাহলে আপনি সরাসরি নিকটস্থ ভূমি অফিসে যাবেন। তারপর সেখানে গিয়ে আপনার জমির দাগ নাম্বার ও খতিয়ান যাচাই করবেন। তাহলে আপনি নির্দিষ্ট জমি খাস কিনা, সেটি যাচাই করতে পারবেন। 

তবে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতিতে খাস জমি চেনা যায়।  আর সে গুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন, 

  1. কোনো জমিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকলে। 
  2. ভূমি জরিপ ও রেকর্ড তথ্য থেকে। 
  3. জমির ব্যক্তিকগত মালিকানা না থাকলে। 
  4. জমির ব্যবহার করার ধরন ও উদ্দেশ্যে দেখে। 
  5. জমির মধ্যে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড থাকলে। 
  6. ভূমি অফিস থেকে। 

যদি কখনও আপনার খাস জমি চেক করার দরকার হয়। তাহলে আপনি উপরের এই উপায় গুলোর মাধ্যমে খাস জমি চেক করতে পারবেন।

আরো পরুনঃ খতিয়ান থেকে জমির পরিমাণ বের করার নিয়ম  

আপনার জন্য লেখকের কিছু মন্তব্য  

পাঠক, খাস জমি কি ও খাস জমি কত প্রকার আশা করি সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য। 

আর আমরা জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করি। যদি আপনি সেগুলো জানতে চান,তাহলে নিয়মিত আমাদের ব্লগে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *