জমির দাগ নম্বর কিভাবে দেখব?

How to see the land mark number আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, জমির দাগ নম্বর কিভাবে দেখবো। তো আপনি আপনার জমির দাগ নম্বর মৌজা নক্সায় দেখতে পারবেন। 

আরো পরুনঃ জমির দাগ নম্বর ম্যাপ বের করার উপায়

কেননা আমরা সবাই জানি যে, জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করার সময় মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার জন্য প্রত্যেক টি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বার কে আমরা জামির দাগ নাম্বার বলি।

আরো পরুনঃ জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বের করার উপায়  

তবে জমির দাগ নাম্বার দেখার উপায় জানার পাশাপাশি আপনাকে দাগ নম্বর সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে হবে। আর সেই অজানা বিষয় গুলো নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

আরো পরুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দাতা কে?

জেল নং মানে কি?

আমরা সবাই জানি যে, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা থানার মধ্যে থাকা মৌজাকে পর্যায়ক্রমে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। আর মৌজার মধ্যে থাকা এই নম্বরকে বলা হয়, জেল নং। 

আরো পরুনঃ খতিয়ান থেকে জমির পরিমাণ বের করার নিয়ম 

খতিয়ান কাকে বলে?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জেল নং মানে কি সে সম্পর্কে জানলাম। তো এবার আমাদের জানতে হবে খতিয়ান কাকে বলে। 

আরো পরুনঃ 1 কাঠা = কত শতক জমি? 

তো সহজ কথায় বলতে গেলে এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরন সহো যে ভূমি রেকড জরিপকালে তৈরি করা হয়, মূলত তাকেই বলা হয়, খতিয়ান। আর এই খতিয়ান এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা থাকে। যেমন,

  1. ভূমির মালিকের নাম, 
  2. ভূমির মোট পরিমান,
  3. জমির দাগ নাম্বার,
  4. উক্ত ভূমির প্রকৃতি,
  5. খাজনার হারের পরিমান ইত্যাদি। 

আর সে কারণে মূলত ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিশেষ বিবরনী প্রস্তুত করা হয়। তাকে আমরা খতিয়ান বলে থাকি। 

আরো পরুনঃ জমি বন্টন ক্যালকুলেটর | অ্যাপস ও ওয়েবসাইট 

খতিয়ান কত প্রকার ও কি কি? 

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ান আছে। যদিওবা অধিকাংশ সময় সিএস, এসএ ও আরএস খতিয়ানের নাম শোনা যায়। তবে এগুলো ছাড়াও আমাদের দেশে আরো খতিয়ান রয়েছে। আর সেগুলো হলো, 

০১- সিএস খতিয়ানঃ যে সকল খতিয়ান ১৯১০ ও ১৯২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিন এর মাধ্যমে জমির আয়তন, অবস্থান, মৌজা নকশা, ভূমির মালিক এর বিবরনী উল্লেখ করা আছে। সেগুলোকে বলা হয়, সিএস খতিয়ান। 

০২ – এস এ খতিয়ানঃ যখন ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস করা হয়েছে। তখন সরকার জমিদারি অধিগ্রহন করেছিলেন। আর উক্ত সময়ে যে সকল সরকারি কর্মচারী ছিলো। তারা সরেজমিনে না গিয়ে সিএস খতিয়ান কে পুনরায় সংশোধন করেছে। আর এই সংশোধন এর পরে যে খতিয়ান পাওয়া যায়, তাকে এস এ খতিয়ান বলা হয়। 

০৩ – আর এস খতিয়ানঃ এস এ খতিয়ান তৈরি করা সময় সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে না গিয়ে সিএস খতিয়ান কে সংশোধন করেছে। যার ফলে এস এ খতিয়ান এর মধ্যে খতিয়ান এর মধ্যে নানা ধরনের ভুল ত্রুটি ছিলো। আর এই ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করার পর যে খতিয়ান তৈরি করা হয়েছিলো। মূলত তাকে বলা হয়, আর এস খতিয়ান। 

০৪ – বি এস খতিয়ানঃ এটি হলো আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে সর্বশেষ জরিপ করা খতিয়ান। কেননা, এই খতিয়ান সর্বশেষ জরিপ করা হয়েছিলো ১৯৯০ সালে। 

তো আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে যেসব খতিয়ান রয়েছে। উপরের আলোচনায় সেই খতিয়ান গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।  

আরো পরুনঃ জমির পরিমাপ শতাংশ | জমির পরিমাপক 

জমি খাস কেন হয়?

সহজ কথায় বলতে গেলে যেসব জমি বিভিন্ন কারণে সরকার নিজের করে নেয়। মূলত সেই জমি গুলো কে খাস জমি হিসেবে ধরা হয়।  আর যখন সরকার কোনো জমি অধিগ্রহন করবে তখন সেই জমি গুলোকে খাস খতিয়ান বলা হয়। 

আরো পরুনঃ ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম 

আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করি। যেগুলো থেকে আপনারা বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। 

তো আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোনো ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে অবশ্যই সেটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *