জমির দাখিলা কাটার নিয়ম | অনলাইনে দাখিলা কাটার নিয়ম
Rules for deducting land application Online জমি হলো আমাদের সবার জন্য মূল্যবান একটি সম্পদ। আর এই সম্পদ ব্যবহার করতে হলে আমাদের সবাইকে নির্দিষ্ট পরিমান কর বা ট্যাক্স দিতে হয়। তো যখন আপনি জমির খাজনা প্রদান করবেন। তখন আপনি অনলাইনে আপনার দাখিলা কাটতে পারবেন।
তাই অনলাইন থেকে কিভাবে জমির কর পরিশোধ করা যাবে। আর কিভাবে আপনি পেমেন্ট দেওয়ার পর দাখিলা কাটবেন। সেগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো।
আরো পরুনঃ অনলাইনে হোল্ডিং নাম্বার যাচাই করার উপায়
জমির দাখিলা কাকে বলে?
সবার আগে আমাদের জমির দাখিলা কি সে সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। তো যখন কোনো একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট জমির মালিক হবেন। তখন তাকে সেই জমি ভোগদখল করার জন্য নির্ধারিত ট্যাক্স বা কর দিতে হবে। আর এই কর পরিশোধ করার প্রমাণ হিসেবে আপনাকে একটি রশিদ দেওয়া হবে।
যেটি আপনি পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করতে পারবেন। তো এই রশিদ কে বলা হয়, জমির দাখিলা। যে দাখিলা এখন অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যায়।
আরো পরুনঃ খাস জমি কত প্রকার?
কিভাবে জমির দাখিলা কাটতে হয়?
আজকে আমি আপনাকে সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ও দাখিলা কাটার নিয়ম সম্পর্কে বলবো। সেজন্য আপনি যদি অনলাইন থেকে এই কাজ গুলো করতে চান। তাহলে আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে।
আরো পরুনঃজমি মাপার পদ্ধতি pdf
ধাপ-১ঃ ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে একাউন্ট করুন
যদি আপনার আগে থেকে ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করা থাকে। তাহলে আপনার আর নতুন করে একাউন্ট করতে হবেনা। কিন্তু আপনাদের যাদের একাউন্ট নেই, তারা নিচের নিয়ম গুলো ফলো করুন। যেমন,
- সবার প্রথমে এই লিংকে প্রবেশ করুন।
- বামপাশে থাকা “নাগরিক কর্নার” অপশনে ক্লিক করুন।
- এবার ”নাগরিক নিবন্ধন” অপশনে টিক মার্ক দিন।
- নিচের অপশনে আপনার মোবাইল নাম্বার দিন।
- এরপর আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র এর নাম্বার দিন।
- তার নিচের অপশনে আপনার জন্ম তারিখ দিন।
- সবশেষে “পরবর্তী পদক্ষেপ” বাটনে ক্লিক করুন।
যদি আপনি উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে ফলো করেন। আর আপনার দেওয়া তথ্য গুলো যদি ঠিক থাকে। তাহলে আপনি পরবর্তী অপশনে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর যাবতীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। তারপর আপনার পুনরায় ”পরবর্তী পদক্ষেপ” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।
- এবার আপনাকে নতুন একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
- তারপর সবার বাম পাশের মধ্যে “খতিয়ান” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এবার আপনাকে খতিয়ান যুক্ত করতে হবে। সেজন্য আপনার বিভাগ, জেলা, থানা, মৌজা, খতিয়ান নাম্বার দিতে হবে।
- সবশেষে আপনাকে “সংরক্ষন করুন” নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এই কাজ গুলো করার পর ভূমি অফিস আপনার সকল তথ্য গুলো যাচাই করবে। আর যদি আপনার একাউন্ট এর সকল তথ্য সঠিক থাকে, তাহলে ভূমি অফিস থেকে আপনার একাউন্ট এপ্রুভ করবে।
আরো পরুনঃ জমির দাগ নম্বর ম্যাপ বের করার উপায়
ধাপ-২ঃ অনলাইন থেকে জমির দাখিলা সংগ্রহ করুন
তো যদি আপনার একাউন্ট এপ্রুভ হয়। তাহলে আপনাকে পুনরায় ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে। আর লগ ইন করার পর সবার বাম পাশের প্রোফাইল অফশনে ক্লিক করে ঠিকানা ও ইমেইল দিতে হবে।
- এবার আপনি “হোল্ডিং” বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর “বিস্তারিত” বাটনে ক্লিক করুন।
- ”অনলাইন পেমেন্ট” বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার পেমেন্ট করার মাধ্যম সিলেক্ট করুন।
- আপনার নির্ধারিত কর পরিশোধ করুন।
যখন আপনি পেমেন্ট করবেন, তারপর আপনাকে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আপনাকে পুনরায় আপনার একাউন্টের মধ্যে লগ ইন করতে হবে। এখন আপনি সবার বাম পাশের দাখিলা বাটনে ক্লিক করলেই আপনার দাখিলা দেখতে পারবেন।
তো এই দাখিলা টি আপনি পিডিএফ ফরম্যাট হিসেবেও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর যদি আপনার নিকট এই অনলাইন দাখিলা থাকে। তাহলে আপনাকে আর ভূমি অফিস থেকে খাজনা রশিদ সংগ্রহ করতে হবেনা।
আরো পরুনঃ জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বের করার উপায়
সবশেষে আপনার জন্য আমার কিছুকথা
জমির দাখিলা কাটার নিয়ম গুলো আজকে ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে। তো আমরা প্রতিনিয়ত জমির খাজনা, দলিল, খতিয়ান নিয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করি। আর যদি আপনি এই তথ্য গুলো বিনামূল্যে পেতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।