ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম

Rules for measuring land with a tape একটা বিষয় আমরা সকলেই বেশ ভালো করে জানি। সেটি হলো, যখন সরকারি ভাবে কোনো জমি পরিমাপ করা হয়। তখন সাধারনত চেইন ব্যবহার করা হয়। কিন্তুু যখন আমরা কোনো আমিনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি জমি পরিমাপ করবো। তখন আমিন ফিতা দিয়ে জমির পরিমাপ করে। 

মূলত সে কারণে আমাদের ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম গুলো জানার দরকার হয়। তো আপনাকে ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম গুলো জানিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। 

আরো পরুনঃ জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ বের করার উপায়  

ফিতা দিয়ে জমি মাপার পদ্ধতি

যখন কোনো একটি জমির পরিমান অনেক বেশি হবে। তখন ফিতা দিয়ে সেই জমি মাপার কাজটি অনেক সহজ হবে। তবে যদি আপনি ফিতা দিয়ে জমি পরিমাপ করতে চান। তাহলে সবার উক্ত জমির ক্ষেত্রফল বের করতে হবে। তারপর আপনি বিভিন্ন হিসেবের মাধ্যমে সেই জমির পরিমান বের করতে পারবেন। 

তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, জমির ক্ষেত্রফল বের করার পর কোন হিসেব করে জমি পরিমাপ করতে হবে। আর যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে, তাহলে নিচে শেয়ার করা হিসেব গুলোর দিকে লক্ষ্য করুন। যেমন, 

  1. ১ কাঠা = ৮০.১৬ বর্গগজ = ৭২১.৪৬ বর্গফুট।
  2. ১ ছটাক = ৫.০১ বর্গগজ = ৪৫.০৯ বর্গফুট।
  3. ১ বর্গমিটার = ১.১৯৬ বর্গগজ = ১০.৭৬ বর্গফুট।
  4. ১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ = ৪৩৫৬০ বর্গফুট, অর্থাৎ ৪৮৪০ বর্গগজ বা ৪৩৫৬০ বর্গফুট জমির পরিমাণ হচ্ছে ১ একর।
  5. ১ বিঘা = ১৬১৩ বর্গগজ = ১৪৫২০ বর্গফুট।
  6. অর্থাৎ ১৬১৩ বর্গগজ বা ১৪৫২০ বর্গফুট জমির পরিমাণ হচ্ছে ১ বিঘা।

তো যখন আপনি ফিতা দিয়ে কোনো একটি জমির ক্ষেত্রফল বের করবেন। তখন আপনি উপরের এই হিসেব গুলোর মাধ্যমে জমির পরিমাপ করতে পারবেন। 

আরো পরুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দাতা কে? 

জমি মাপার সাধারন সূত্র ও গানিতিক রুপ

জমির পরিমাপ অনেক নিঁখুত ভাবে করতে হয়। আর সে কারণে আপনি যেহুতু ফিতা দিয়ে জমির পরিমাপ করতে চান। সেহুতু আপনাকে জমি মাপার সাধারন সূত্র ও গানিতিক রুপ জেনে নিতে হবে। আর নিচের আলোচনায় আমি আপনাকে সেই সূত্র ও গানিতিক রুপ গুলো প্রদান করলাম। 

আরো পরুনঃ জমি বন্টন ক্যালকুলেটর | অ্যাপস ও ওয়েবসাইট

জমি মাপার সাধারন সূত্র

সবার শুরুতে আমি আপনাকে এমন একটি জমি মাপার সূত্র বলবো। যেটি মূলত জমি মাপার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় ব্যবহার করা হয়। আর সে কারণে এই সূত্রকে সার্বজনীন সূত্র বা সাধারন সূত্র বলা হয়। আর সেটি হলো, সবার প্রথমে এক বা একাধিক দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যুক্ত জমির ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থকে ফুট হিসেবে নির্ণয় করতে হবে। 

কিন্তুু জমি মাপার সময় যদি লক্ষ্য করেন যে, সেই জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান না হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিন্ন সূত্রের ব্যবহার করতে হবে। কেননা, তখন আপনাকে সেই জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গড় নির্ণয় করে নিতে হবে। 

আর যখন আপনি গড় নির্ণয় করবেন তারপর আপনাকে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গড় গুনফল কে ৪৩৬.৫০ দিয়ে ভাগ করে নিতে হবে। এরপর আপনি উক্ত জমির শতাংশ হিসেবে পরিমাপ করতে পারবেন। 

আরো পরুনঃ জমির পরিমাপ শতাংশ | জমির পরিমাপক

জমি মাপার সূত্রের গানিতিক রুপ

উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে জমি মাপার সাধারন সূত্র সম্পর্কে বলেছি। তো এবার আমি আপনাকে জমি মাপার সূত্রের গানিতিক রুপ প্রদান করবো। যেটি নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন, 

  1. জমির কাঠাঃ  জমির ক্ষেত্রফল ভাগ ৭২০,
  2. জমির শতাংশঃ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গড় গূনফল ভাগ ৪৩৬.৫০,

মূলত আপনি উপরের এই সূত্র গুলোর মাধ্যমে যেকোনো জমি পরিমাপ করে নিতে পারবেন। আশা করি, এতে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা। 

আরো পরুনঃ 1 কাঠা = কত শতক জমি?

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

যখন আপনি ফিতা দিয়ে জমি পরিমাপ করবেন। তখন আপনাকে যেসব নিয়ম ও সূত্র মেনে জমি পরিমাপ করতে হবে। সেই জমি মাপার সূত্র ও নিয়ম গুলো আজকের আর্টিকেলে শেয়ার করা হয়েছে। 

তো এগুলো সম্পর্কে যদি আপনার কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আর জমি সংক্রান্ত এমন অজানা বিষয় গুলো জানতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।                             

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *