সার্বিয়া ধর্ম  | সার্বিয়া ধর্ম কি?

Religion of Serbia | What is the religion of Serbia আপনারা অনেকেই গুগলে সার্বিয়া ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান। তো ২০২১ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সার্বিয়ার মোট জনসংখ্যা হলো ৬.৮৩৪ মিলিয়ন। আর এর মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ মানুষ খৃষ্ট ধর্মের অনুসারী। তবে এই দেশের মধ্যে তৃতীয়বৃহত্তম ধর্মের নাম হলো ইসলাম। 

কেননা, বর্তমান সময়ে সার্বিয়াতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩% মানুষ মুসলমান। আর যদি আপনি কসোভো কে সার্বিয়ার একটি অংশ হিসেবে মনে করেন। তাহলে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

আরো পরুনঃ সার্বিয়া মুসলিম জনসংখ্যা | সার্বিয়া জনসংখ্যা

 

সার্বিয়া কি মুসলমান?

সার্বিয়া মূল ধর্ম হলো খৃষ্ট ধর্ম। কিন্তুু এই দেশের মধ্যে যথেষ্ট পরিমান মুসলিম বসবাস করে। কারণ, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সার্বিয়াতে প্রায় ৫ লাখ মুসলিম বসবাস করে। আর  বর্তমান সময়ে সার্বিয়ার তৃতীয়বৃহত্তম ধর্মের নাম হলো, ইসলাম। 

আরো পরুনঃ দক্ষিণ সুদান ধর্ম সম্পর্কে জানুন 

সার্বিয়া কি এশিয়ার নাকি ইউরোপের?

যারা আসলে জানতে চান যে, সার্বিয়া কি এশিয়া মহাদেশের নাকি ইউরোপ মহাদেশের। তাদের বলবো যে, সার্বিয়া হলো, দক্ষিন পূর্ব ইউরোপ এর একটি দেশ। আর বর্তমান সময়ে সার্বিয়ার পূর্বে রয়েছে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া। এছাড়াও এই দেশটির উত্তরে আছে হাঙ্গেরী। 

আরো পরুনঃ ক্রোয়েশিয়া মুসলিম জনসংখ্যা কত?

সার্বিয়া কি ইইউতে যোগ দেবে?

এখন পর্যন্ত সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর মধ্যে যোগ দিতে পারেনি। তবে তারা চেস্টা করে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করার জন্য। 

আরো পরুনঃ ক্রোয়েশিয়া ধর্ম কি?

কারণ, 2009 সালে সার্বিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করার জন্য আবেদন করে। এছাড়াও 2012 সালের মার্চ সার্বিয়া কে ইইউ প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল । আর 2013 সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইইউ এবং সার্বিয়ার মধ্যে একটি স্থিতিশীলতা চুক্তি কার্যকর হয়েছে। 

 

তবে সার্বিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করার কাজ এখনও চলমান আছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুত সার্বিয়া ইইউ তে যোগ দিতে পারবে। 

আরো পরুনঃ নামিবিয়া মুসলিম কত %

কসোভো ও সার্বিয়া কি একই?

আপনার মতো এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, কসোভো ও সার্বিয়া কি একই কিনা। তো এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে একটু বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। 

 

সেটি হলো, কসোভো 2008 সালে সার্বিয়া থেকে একতরফা ভাবে স্ব-ঘোষিত স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলো।  কিন্তু সমস্যা হলো, সার্বিয়া কসভোর এই ঘোষনা কে সম্মতি প্রদান করেননি। উল্টো সার্বিয়া এই পদক্ষেপ কে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলো। 

 

যার কারণে এখন পর্যন্ত সার্বিয়া নামক দেশটি কসোভো কে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। আর কসোভো কে সার্বিয়ার একটি অংশ হিসেবে দাবী করে।

 

আরো পরুনঃ ইন্দোনেশিয়া মসজিদের সংখ্যা কত?

কসোভো কেন সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা চেয়েছিল?

যদি আপনার মধ্যে আন্তর্জাতিক খবর জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনি অবশ্যই শুনবেন যে, কসোভো সার্বিয়ার থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে চায়। কিন্তুু সার্বিয়া এই কখনোই তাদের এই বিষয়টিকে সম্মতি প্রদান করেনি। 

 

তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কসোভো কেন সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা চেয়েছিল। তো এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। আর সেগুলো হলো, 

  1. জাতিগত পরিচয়,

  2. মানবাধিকার লঙ্ঘন করা,

  3. রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব,

মূলত উপরে যে কারণ গুলো দেখতে পাচ্ছেন। সেই কারণ গুলোর জন্যই কসোভো সার্বিয়ার থেকে আলাদা হতে চায়। 

 

কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো। ২০০৮ সালে কসোভো একক ভাবে নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষনা করে। তারপর জাতিসংঘের মোট ১১৫ টি সদস্য রাষ্ট্র এই স্বাধীনতার ঘোষনাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তুু সমস্যা হলো কসভোর মিত্র ও সার্বিয়া এই স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

সার্বিয়া ধর্ম সম্পর্কে বলার পাশাপাশি আজকে আমি সার্বিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য শেয়ার করেছি। তো যারা আসলে সার্বিয়া দেশ কেমন সেটি জানতে চান। তাদের জন্য এই লেখাটি অনেক হেল্পফুল হবে। 

 

আর যদি আপনি বাংলা ভাষায় এমন ধরনের হেল্পফুল তথ্য পেতে চান। তাহলে আমাদের ব্লগে ভিজিট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *